পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জের সহযোগিতায় ৮ জন এইচ এস সি পরীক্ষার্থীর ফরম ফিলাপ

পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জের সহযোগিতায় ৮ জন এইচ এস সি পরীক্ষার্থীর ফরম ফিলাপ

আব্দুল আলীম খান পটুয়াখালী  প্রতিনিধিঃ আগামী ০১/০৪/১৯ তারিখ  শুরু হতে যাচ্ছে এইচ এস সি শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা এরই ধারাবাহিকতায় ফরম ফিলাপের নির্ধারিত  তারিখ উত্তীর্ন হয়ে গেলেও ফরম পুরন হয়নি পটুয়াখালী সরকারি  কলেজের ৮ জন মেধাবী শিক্ষার্থীর।গত ৯ মার্চ এমনি একটি অভিযোগ হয়েছে সদর থানায়।জৈনকাঠী মোঃ কামরুজ্জামান পলাশ নামে এক ব্যাক্তি এই প্রতারনা করেছে বলে জানাযায়।বিষয়টি শিক্ষার্থীদের ইয়ার লচে গুরুত্বপূর্ণ ভেবে পটুয়াখালীর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান সকল শিক্ষার্থীর অভিভাবক ডেকে এনে এবং নিজে দায়িত্ব নিয়ে আর্থিক সহোযোগীতা প্রদান করে পুনরায় ফরম পুরনের ব্যবস্থা করে দিলেন। এনিয়ে শিক্ষার্থীরা বাদী হয়ে জৈনকাঠী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য  কামরুজ্জামান পলাশের  নামে একটি লিখিত অভিযোগ  দায়ের করে পটুয়াখালী সদর থানায়। সুত্রে জানাগেছে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্থান থেকে এসে ভর্তি হয়ে কলেজে পড়াশুনা করে এরা সকলে একই ক্লাসের। গত ফ্রেরুয়ারী মাসে  যখন H.S.C পরীক্ষার  ফরম ফিলাপের সময় আসলে কলেজ কর্তৃপক্ষ  সকল শিক্ষার্থীদের নিজ দায়িত্বে অনলাইনে  ফরম ফিলাপের কথা বলা হয়েছে।তখন পলাশ নামের এই ব্যাক্তি শিক্ষার্থীদের কম খরচে ফরম ফিলাপের আশ্বাস দিয়ে সকলের সুবিধার  জন্য প্রত্যেকে ৪,৫০০ টাকা ও ইমরান হোসেন ৫,০০০ হাজার সর্বমোট ৩৬,৫০০ টাকা তাকে দেয়  এরপর যখন  ফরম ফিলাপের নির্ধারিত  তারিখ শেষ হলে শিক্ষার্থীরা কলেজে কম্পিউটার শাখায় গিয়ে ফরম ফিলাপের বিষয় জানতে চাইলে দেখে তাদের কোন ফরম ফিলাপ হয়নি। শিক্ষার্থীরা সকলে পলাশের কাছে জানালে, সে তাদের বিভিন্ন কৌশলে আশ্বাস  দিয়ে যাচ্ছিল হচ্ছে হবে বলে ঘুড়ায় এবং এক পর্যায়ে তার মোবাইল ফোন বন্ধ করে রাখে।এমন পরিস্থিতিতে সকল ছাত্রছাত্রী বিষয়টা পটুয়াখালী থানার অফিসার ইনচার্জকে অভিযোগ জানায়  ১. মোঃ মুসা, ২. মোঃ রায়হান, ৩. মোসাঃ মর্জিনা, ৪. মোঃ সাইদুর রহমান, ৫. জিসান, ৬. মোঃ মাহফুজ, ৭. মোঃ অনিক। এরা সকলে মেধাবী ছাত্র ছাত্রী এমনকি জিপিএ- ৫  পাওয়া ছাত্রও রয়েছে।এই খবর পেয়ে প্রতারক পলাশ অন্য মাধ্যম হয়ে অভিভাবকদের  ২৫ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছে বাকি টাকা দু এক দিনে মধ্যে দিবে  বলে জানাগেছে থানা সুত্রে।পুনরায় নতুন করে ফর্ম ফিলাপের জন্য  সর্বমোট ৪৮০০০ হাজার টাকা ফরচ হয়েছে  এদের  মধ্যে ৭ জন ছাত্র ও ১ জন ছাত্রী রয়েছে।খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান সকল ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে করে বলেন আপনারা নিজেরা এসে নিজ দায়িত্বে ফরম ফিলাপ করে যাবেন আর আপনার ছেলে সন্তানরা কোথায় কি করে সেদিকে খেয়াল রাখবেন যাতে আর এমন কোন দালালের চক্রে কেহ না পড়ে সে ব্যাপারে আপনারা সচেতন থাকবেন। এমন কোন চক্রের সন্ধান পাওয়া গেলে সাথে সাথে তাকে ইনফরম করার জন্য বলে সব সময় তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহযোগিতা করবেন